দলের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র আধিপত্য সংক্রমিত হয়েছে সরকার পরিচালনায়। এই মমতাশাহি দেখলে ছাত্রজীবনে দেখা ইতিহাসের মাস্টারমশাই নির্ঘাত বলতেন ‘দি অ্যাবসোলিউট মনার্কি অব বেঙ্গল’।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Anandabazar Patrika, 19th April 2016
হেলায় লুটাব এই সাধের পরাণ…
দলের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র আধিপত্য সংক্রমিত হয়েছে সরকার পরিচালনায়। এই মমতাশাহি দেখলে ছাত্রজীবনে দেখা ইতিহাসের মাস্টারমশাই নির্ঘাত বলতেন ‘দি অ্যাবসোলিউট মনার্কি অব বেঙ্গল’।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Anandabazar Patrika, 19th April 2016
…, অনেকদিন পর, এমন একটা উপহার আজ পেলাম, যা কেবল, যে কোনো একটা
সৌজন্যমূলক গিফটমাত্রই নয়, যার সঙ্গে সাধারণত মিশে থাকে সামাজিকতার
শুকনো অভিশাপ। এক্ষেত্রে, মহীশূর চন্দনকাঠের এই লেখনীটি, কারও উপহার
হিসেবে মনস্থ করার পেছনে রয়েছে প্রাপকের রুচির প্রতি, ক্রিয়াকর্মসংস্কারের প্রতি,
গভীরতর এক সম্মাননা।
Continue reading “চন্দনকাঠের লেখনী – শোভন ভট্টাচার্য”
দেবতা আমাকে ফেলে সন্ধ্যেবেলার ট্রেনে দেরাদুন গেছেন ।
আমি একা ছোটো ঘরে থাকি – ফলে আলো
পড়ে না শরীরে, মনে – আমিও শহরতলি ফেলে রেখে
ভাঙা এ শহরে থেকে যেতে চাই পাহাড়ে বা সমুদ্রবাতাসে ।
দেবতা চুরুট হাতে আমার সমস্ত কথা শুনে হেসেছেন ।
‘যদিও শেরিফ নও তুমি’- তিনি বলেছেন,’ধ্বস্ত এ শহর
দেখাশোনা করো তুমি’- আমার দায়িত্ব নাকি অনেক; শুনেছি ।
আমি চাই মিশে যেতে প্রতিটি জলের সঙ্গে -অথচ দেবতা
নারাজ, উধাও ফের- আমি আরো ফাঁকা ঘরে শান্ত শুয়ে আছি ।
১৬.২.৮২
ভাস্কর চক্রবর্তী
দুধে-আলতা ছাড়াই আমি পা রেখেছি আপনার সংসারে । ব্যাঙ ডেকেছে চারপাশে । ঝিঁঝিঁরাও দিয়েছে সেইমতো সঙ্গ । আমার দুই বুকে মিশে ছিল বিষণ্ণ জন্মদাতা – যে কিনা আপনারই কোনও এক জন্মের রাধিকা । কয়েকটা জন্ম আমি শ্মশানে ঘুরেছিলাম । আমার নাভির সাথে জুড়ে ছিল এক উন্মত্ত পিশাচিনী । প্রতি রাত্তিরে সে যখন নাচতে নামত টান পড়ত আমারই নাড়িতে । তারপর যখন তাকে শান্ত করল আপনার পুরুষকার, আমি ধীরে ধীরে উঠে এলাম আপনার সংসারে । কয়েকশো সিঁড়ি বেয়ে । মুঠোয় নিলাম আদিম গাছকৌটো ।
আপনার ছায়ার সঙ্গে আমি ঘুরেছি সাত পাক ।
অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই,
কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই।
এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেই
কিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান।
সাহস আমাকে প্ররোচনা দেয়
জীবন কিছুটা যাতনা শেখায়,
ক্ষুধা ও খরার এই অবেলায়
অতোটা ফুলের প্রয়োজন নেই।
– রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
ধরো একদিন গেরিলা বাহিনী গড়ে
লুন্ঠনে যাবো প্রাসাদ বাগিচা শ্রেষ্ঠীর
ধরো, ধরো, সেদিনও এমনই রাত, এই ঋতুবদলের মাস, এই সেপ্টেম্বর,
ধরো, সেদিনও এমনভাবে নিদ্রাহীন বসে থাকা, কৃষ্ণপক্ষ, আর
Continue reading “‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ থেকে – মৃদুল দাশগুপ্তের কবিতা”