When it started to rain, I was alone in the porch, I ran. I thought I would find you in the water. I thought that you might be soaked in the cloud, Or the rain. Beneath the shiuli tree’s bosom. Soaking your hair.. oh… in sky wrenching water… But you were not to be found. Not outside in the rain. My heart is clouded again… And it is raining like the end of times. Inside.
(A feeble attempt to translate Shakti Chattapadhayay’s second verse from বৃষ্টি নামল যখন)
ক্রিট দেশের রাজা বল্লেন, একটা মস্ত জেলখানা চাই। দায়দালুস তো বিশ্বকর্মা। রাজার হুকুম মত সেই বানালে এক গভীর সুড়ঙ্গের মধ্যে দুর্ভেদ্য কারাগার। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস! রাজা সেই দায়দালুসকেই কারাগারে বন্দী করে রাখলে। নিজেরই বানানো জেলখানায় বন্দী হলেন দায়দালুস। সাথে তার ছেলে ইকারাস।
অর্জুন বললেন, ‘আমি কি করে তোমায় ত্যাগ করতে পারি?’ সমস্ত পৃথিবী যেন থরথর করে উঠল। জলে বৃষ্টির প্রথম বিন্দু টুপ করে ঝরে পড়লে যেমন কম্পন হয়, তেমনি। আমরা চাই তেমন বিন্দু বিন্দুতে শিহরিত হতে। আমরা পারি না।
আমাদের অন্তরে শ্বাসের মুল্য কি কমে আসছে? সেই ফরাসি যুবকের মত আমারও বলতে ইচ্ছে করে, ‘কোনো ভয় নেই। ভারতে এসো!’ সমস্তটা বিক্রির জন্য নয় বাবুমশাই।
আমরা বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। বন্ধুর গর্ভে কে যেন আসছে। আচ্ছা এই সেদিন বিপ্লব হবে বলেছিলে না? যোধপুর পার্কে একটা মস্ত মিটিং হয়েছিল। ফ্রক পড়া এক কৃষ্ণকাজল মেয়ে এসেছিল। আকাশে সেদিন মেঘ ছিল না। বিপ্লব হবে। পূ্র্বাভাস ছিল।
সেদিনও কলেজ স্কোয়ারের ফুটপাতে ফিরদৌসদার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। ফেভারিটে কৌশিক আসবে বলে যথারীতি লেট। অসম্ভব বৃষ্টিতেও ৭২ নম্বর বাস ঠিক সময়ে কলেজ স্ট্রিট! আর আমি যথারীতি দৌড়াচ্ছি। কোন এক লহমায় মহাজাতি সদন মিলিয়ে গেল বাঁ হাতে। কি হবে সখি এমন যাতনা? এমন অবুঝ হয়ে থাকব কতক্ষণ। পকেটে পাঁচ টাকা আছে বোধহয়। বইমেলা ফেরত আমি নিশ্চিত, এই ফকিরি দিয়ে বাংলাতে প্রেম, বিপ্লব দুইই হয়।
বাসে করে যাচ্ছিলাম মে-ফেয়ার মল। শহরের এক প্রান্তে ওয়াওয়াটোসা। মঙ্গলবার করে সেখানে হাফ দামে সিনেমা দেখা যায়। গাইডের সাথে আলোচনা শেষ করতে করতে দুপুর ১টা হলো। তারপর ৬০ নাম্বার বাস ধরেছি। আজ একটা কিছু দেখতেই হবে। অনেকদিন স্বাদবদল হয় না।
চন্দ্রগর্ভ ২১ বছর বয়েসে জাহাজে উঠলেন। গন্তব্য সুমাত্রা। সেখানে ধর্মপাল থাকেন। বৌদ্ধ শাস্ত্রের কিংবদন্তী পণ্ডিত ধর্মপালের কাছে শিখতে চান চন্দ্রগর্ভ। বিগত একদশক ধরে তিনি বিক্রমশীল মহাবিহারে পড়াশোনা করেছেন। তবু পিপাসা মেটেনি।
এলাহাবাদের নাম পালটে গেল। প্রয়াগরাজ। বৌদ্ধধর্ম, ইসলাম পেরিয়ে ভারতে এখন অন্য এক ধর্মের রণহুঙ্কার শোনা যাচ্ছে। সমসময়ের ধর্মপাল, অশোক সেন প্রয়াগরাজে থাকেন। তিনি সৃষ্টিরহস্যের কিছু কথা নাকি জানেন। কলকাতায় থাকেন অধ্যাপক নীনা গুপ্তা। শুনেছি তিনি নাকি শুন্যের কথা জানেন (নিলপোটেন্সি উবাচ)। মুম্বাইতে থাকেন মহান মহারাজ। আধুনিক ভারতের ধর্মপালদের কাছে ধাবিত হচ্ছে উন্নাসিক মন।
আর মাঝে মাঝে মনোযোগ ছিন্ন হচ্ছে চন্দ্রগর্ভ।
২১ বছরের চন্দ্রগর্ভ নাকি বাঙাল। মতান্তরে ভাগলপুরের ছেলে। সুমাত্রা পৌঁছেই তিনি ধর্মপালের কাছে ছোটেননি। বরং কিছুকাল সেখানে মাস্টারি করে দিন কাটিয়েছেন। ভারতে তখন বৌদ্ধধর্ম রাজ অনুগ্রহ থেকে বিচ্ছিন্ন। সহস্র বছরের পঠনকেন্দ্রগুলি ভেঙে পড়বে। সাথে যাবে কিছু অচলায়তন আর অনেকখানি নিবদ্ধতা।
অথচ মস্তিষ্ক সে কথা মানতে চায় না। এ যেন ১৯৩০ এর জার্মানি। গটিনজেন ছাড়ছেন পণ্ডিতশ্রেষ্ঠরা। তবু মন মানতে চাইছেনা। কর্মভুমিই তো মানুষের ঘর। এতদিনের বাউহাউস, এতকালের বনস্পতি, এতকালের যত্নে লালিত ডিপার্টমেন্ট সেসব ছেড়ে যেতে হবেই কোন ভিন্ন দেশে। আইনস্টাইন অবশ্য খলিফা আদমি। নাগরিকত্ব ছেড়েছেন কিছুকাল আগেই। চন্দ্রগর্ভও দেশ ছাড়বেন। তবে তার আগে তিনি ফিরবেন সুমাত্রা থেকে। দেখবেন রাজাকে তন্ত্রমন্ত্রের অন্ধকারে তলিয়ে যেতে। টের পাবেন যে গোটা দেশ আচ্ছন্ন হতে চলেছে ক্ষমতালিপ্সুদের হানাহানিতে। তারপর দেশ ছাড়বেন তিনি।
ধর্মপাল কি শিখিয়েছিলেন ২১ বছরের চন্দ্রগর্ভকে? জানিনা। তেমন আগ্রহও নেই। অশোক সেন কি শেখাতে পারেন? প্রচুর আগ্রহ আছে। কিন্তু সেই পঠনের প্রস্তুতি নেই। বাইরে অন্ধকার নামছে। হৃদয়ে ফরাসি গণিতবিদ সের বিচরণ করছেন। গ্রথেনডাইক পায়চারি করচেন। তাদের ঘরে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সহস্র বছরের বটবৃক্ষ, সেই চঞ্চলমতি যুবকের কাছে আমিও ভিক্ষুবৃত্তি নিয়েছি। দেশে ক্রমশ: দানবদের রণহুঙ্কার তীব্র হচ্ছে। উঠানে পরাধীন দেশের এক রাজবিদ্রোহী কুচকাওয়াজ করছেন।
Door bell rang. Gunpowder got ignited. And no one was around! It was the year of 1894 in Kolkata. First time in human history, millimeter length microwaves (milliwave!) worked.
Sir Jagadish Chandra Bose tamed the ‘invisible light’ and put it to work. This was the pioneering work in radio-technology.
He in fact used semi conductor junctions, putting him at least half a century ahead of his time.
Satyendranath Bose
“Although seven Nobel Prizes were awarded for research related to S N Bose’s concepts of the boson, Bose–Einstein statistics and Bose–Einstein condensate, Bose himself was not awarded a Nobel Prize.”
Satyendranath Bose from Kolkata, taught himself German to understand the new world of Physics. He along with his friend Meghnad Saha visited a German Priest to learn the language.
Bose – Einstein statistics (or Bose Statistics) was only one of his fundamental contributions to physics. And of-course he remains the ‘bose’ of the boson.
Dr. Meghnad Saha
How stars burn? Ask Meghnad Saha.
Saha ionization equation is the key foundational tool to encapsulate chemical and physical conditions of stars. They are pretty much the starting point in astrophysics and astrochemistry.
Saha was nominated for Nobel prize several times, but could never win it.
Dr. Upendranath Brahmachari
Upendranath Brahmachari, was uneasy in Calcutta. Thousands were dying all over the country side from this curious ailment called ‘Kala-azar’. It is turning out to be an epidemic of ‘black-death’ proportion.
Hence Urea Stebamine was invented. It saved the lives of thousands of Indians. Anything of similar stature in Europe would have garnered a Nobel prize (white lives matter!). In the pre-antibiotic era, only a few ‘scientific medicines’ existed and Brahmachari’s invention was one of them.
He was unsuccessfully nominated for Nobel Prize in 1929.
Dr. Subhash Mukherjee
Durga was born on 1978 in Calcutta. The second baby born out of in-vitro fertilization in the world. Thanks to Dr. Subhash Mukhapadhyay from Calcutta Medical College.
This was only 68 days after first IVF in Britain. Mukherjee did not receive any recognition in his lifetime.
Dr. Shambhunath De
Cholera claimed more than million lives in the last two centuries. Dr. Sambhu Nath De, of Nilratan Medical College, Kolkata, found the incredibly simple oral rehydration therapy to tame this beast. It saved lives of thousands if not hundreds of thousands.
Oral Rehydration Therapy was a direct outcome of Dr. De’s work on Cholera toxin. Nobel laureate Prof. Joshua Lederberg had nominated De for the Nobel Prize more than once. He never won one.
In 1978, the Nobel Foundation invited De to participate in the 43rd Nobel Symposium on Cholera and Related Diarrhoeas.
‘এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব ভালো। সরকার দেয়। শিক্ষাও সরকারী। কিন্ডারগার্টেন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অবধি ফ্রি।’
যতক্ষণ ক্যামেরা চলছিল জেসাস স্বদেশের প্রশংসায় পন্চমুখ। ক্যামেরা থামতেই সে এক অন্য গল্প বললে। চিকিৎসা আর শিক্ষা নিখরচায়, ঘরভারা হয় শুন্য নতুবা এক পেসো (‘ভেরি চিপ’)। বিদ্যুৎ, রান্নার জ্বালানি, জল ‘ভেরি চিপ’!
কিন্তু ‘ফুড ভেরি এক্সপেন্সিভ’! আমরা যে সব রেস্তোরাঁয় খাচ্ছি সাধারণ কিউবানদের সেখানে দেখিনি। অথচ দুজনে মিলে একবেলার খাবারে খরচ করতাম চারশো টাকা (ভারতীয় টাকার হিসেবে)। এটুকু অন্তত দেশের শহরে বহু ভারতীয়ই খেতে পারে। খায়।
যতগুলো রেস্তোরাঁয় খেয়েছি কোথ্থাও কিউবান চোখে পড়েনি। তবে কি সাধারণ কিউবানের জন্য এটুকুও ‘affordable’ নয়?
জেসাস বলল কিউবায় মানুষের মনে ‘ফিয়ার’ আছে। সে মনের কথা বলতে ভয় পায়। সরকার যদি ‘বদলা’ নেয় তাহলে সমস্ত পরিবারের জীবন ভেসে যাবে।
সত্যি মিথ্যা জানিনা কিন্তু খাওয়ার কষ্ট আর বাক্স্বাধীনতার অভাবের কথা আরও কিছু কিউবানের কাছে শুনেছি।
অথচ রাস্তায় তেমন পুলিশও দেখিনি। সিসিটিভি আছে কিন্তু সর্বত্র নয়। দারিদ্র আছে। ভিখারি আছে। কিন্তু সংখ্যায় সামান্য।
শ্রমজীবি মানুষ সুচিকিৎসা আর সম্মানজনক শিক্ষা পাচ্ছেন। অথচ খাওয়াটা, কথা বলাটা ভয়ে ভয়ে করতে হচ্ছে এ কেমন উলটপুরাণ!
ভারতীয় হিসেবে মনটা খচখচ করে উঠল। আমরা সরকারকে এন্তার গালমন্দ করে থাকি। সরকার জেলে টেলে পুরে দেয় বটে। তবু আমরা চিৎকার করতে ছাড়ি না। লন্ডনে থাকাকালীন দুটো মিছিল দেখেছিলাম হাইড পার্কে। সরকারের মুণ্ডপাত চলছিল। আমাদের মিলওয়াকিতেও প্যালেস্তাাইনের পক্ষে, মার্কিণ সরকারের বিপক্ষে মিছিল দেখেছি। দমন সেখানেও আছে। কিন্তু শ্মশানের শান্তি নেই। মাত্র কটা দিন থেকে এর চেয়ে বেশি বলা ঠিক হবে না। তবু মনে হল ‘রাজা তোর কাপড় কোথা?’ বলাটা খুব জরুরি। আধপেটা খেয়েও মানুষ স্বাধীন স্বাভিমানি হয়ে বাঁচতে চায়।
খাওয়ার কথা উঠল যখন বলি। সাধারণ ভাবে কিউবানরা ভাত খায়। আমাদেরই মত! (মজার ব্যাপার হল হাভানা আর কলকাতা প্রায় একই অক্ষরেখায় অবস্থিত)। সাথে থাকে মাংস (গরু, শুয়োর বা মুরগী)। মাছও খায় ওরা। চিংড়ি বা লবস্টার দেখেছি। ভাতের সাথে কালো বিন্সএর ঝোল। একটু আলু সেদ্ধ দেয় (ম্যাশ্ড পোটাটো)।
খাবার যথারীতি বিস্বাদ। রন্ধনশিল্পে ভারতই প্রথম বিশ্ব (কলকাতা হয়ত তার রাজধানী)। আমেরিকা বা ইউরোপে খাদ্য সাধারণ ভাবে বিস্বাদ হয়। কিছু সস্ আর চিজ্ দিয়ে ওরা সামলানোর চেষ্টা করে বটে। কিন্তু দেশের সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশ বা কচি পাঁঠার ঝোলের তুলনায় এই চেষ্টা নিতান্ত শিশুসুলভ।
কিউবা থেকে ফিরছি। সঙ্গে চলেছে সহস্র মুহুর্ত। ত্রিনিদাদের রিক্শাচালক রবের্তো আর তার কুকুর মোচো। সবুজ জলে স্তব্ধ হয়ে থাকা ক্যারিবিয়ান সাগরের সৈকত প্লায়া আঙ্কন। সিগার শ্রমিক জেসাস। হাভানার সেই যুগল যারা আমাদের গান শুনিয়ে ছিলো। উনবিংশ শতাব্দীতে থমকে থাকা শহর ত্রিনিদাদ। প্রাণোচ্ছল প্রাচীন শহর হাভানা। আদিগন্ত বিস্তৃত আখের ক্ষেত। কাউবয়। হঠাৎ আলাপ হওয়া বাংলাদেশের মা ও মেয়ে।
ধন্য কিউবা। আমাদের মানুষ দেখার সাধ সে মিটিয়ে দিয়েছে।
গগনচুম্বী অট্টালিকা দেখার সাধ আমার নেই। নিউইয়র্ক থেকে লণ্ডন, চৌরঙ্গি থেকে ডালাস, সে দেখেছি ঢের। শুষ্ক দেয়াল উঠেছে আকাশ ফুঁড়ে।
প্রকৃতির সৌন্দর্য্য? আমি বাংলার রুপ দেখেছি। হিমালয় থেকে স্কটিশ পাহাড়চূড়া অবধি স্পর্শ করেছি। সত্যি বলতে শুধু মাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার জন্য কারোর ভারতবর্ষ ছেড়ে না নড়লেও চলে।
আমি বেড়াতে যাই মানুষের সাথে মিশব বলে। নতুন দেশ মানে নতুন মানুষ। যদি কোনো নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন মানুষের সাথে আড্ডাই না হল, তা হলে সে যাওয়ার কোনো মানে নেই। ঠিক এই কারণে আমার মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যেতে আমার বিরক্ত লাগে। প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিয়ে এত ব্যস্ত যে তাদের অন্য কারোর সাথে কথা বলার ফুরসত টুকু নেই।
আর এই খানেই কিউবার জিত।
অঙ্গনা গতকাল শাড়ি পড়েছিল। আমি পড়লাম পাঞ্জাবি। এনেছি যখন পড়ে ফেলা যাক, ভাবটা খানিক এরকম। আর তারপর যেন ম্যাজিক ঘটে গেল।
হাভানার রাস্তায় প্রায় ডজন খানেক মানুষ আমাদের সহাস্য মুখে অভিনন্দন জানালেন, ‘লা ইন্ডিয়া! কালকুতা! টেগোর! গান্ধী!’ সহসা বুঝলাম যে কিউবানরা ভারতীয় দের খুবই পছন্দ করে। তার একটা কারণ হয়ত হিন্দী ছবি। ট্রেড এমবার্গোর কারণে হলিউড এখানে তেমন দাঁত ফোঁটাতে পারেনি। তারই জায়গা নিয়েছে বলিউড। বিনোদন তো চাই। আর আছেন রবীন্দ্রনাথ।
সেন্ট্রাল প্লাজায় দেখা হয়ে গেল দুই বাঙালি পর্য্যটকের সাথে। মা ও মেয়ে বেড়াতে এসেছেন। চট্টগ্রামে আদি বাড়ি হলেও ওরা থাকেন নিউইয়র্কে। মা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। মেয়ে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল সাইন্স পড়ছে।
’আমি আইন নিয়ে পড়তে চাই ভবিষ্যতে। আপাতত একটা সোশ্যাল অর্গানাইজেশনে কাজ করছি। ওরা ইমিগ্রেশন নিয়ে সাউথ এশিয়ান দের সাহায্য করে।’ মেয়েটি আমায় জানালো।
‘নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে পুলিশের উৎপাত বেড়েছে আজকাল। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের খুব ধরছে। কাগজপত্র ঠিক না থাকলেই দেশে চালান করছে। আমরা নবাগতদের তাদের অধিকার সম্পর্কে অবহিত করি। নারী স্বাধীনতার ওপর কাজও হয়।’
ভদ্রমহিলার পায়ে সর্ষে। শান্তিনিকেতন থেকে কফি হাউস, মেলবোর্ণ থেকে নেদারল্যাণ্ডস, তিনি বহু জায়গায় গেছেন। আমাদের কফি খাওয়ালেন। একদম বাঙালি আড্ডা জমে গেল বিকেলের হাভানায়।
ইতিমধ্যে পথে এক সিগার শ্রমিক জেসাসের সাথে আলাপ হল। সে ‘লা ইন্ডিয়ান’ বলে থমকে গিয়ে আমাদের সাথে আড্ডা জুড়েছে। তার থেকে কিউবার সম্বন্ধে বেশ কিছু কথা জানতে পারলাম। কতক গুলো আগেই শুনেছিলাম। রবের্তো বা মারিওর কাছে, ত্রিনিদাদে। কতকটা নতুন।
বিকেলে দেখা হলো সারিমার সাথে। অর্জুনদার (আমার শ্যালক) বন্ধু। লন্ডনে পড়ার সময় ওদের বন্ধুত্ত্ব হয়েছিল।
সারিমা ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানাতে চায়, ‘আমি ছোটো থেকেই হাভানায় আছি। এখানে মানুষজন খুব রিল্যাক্সড থাকে। তুমি যদি খুব ব্যস্ত হও, তাহলে সম্ভবত তোমার হাভানাতে খুব একটা বন্ধু হবে না।’ ও হাসতে হাসতে বলল। আমরা বসেছিলাম সান লাজারাস আর ইনফ্যান্টার মোড়ে, একটা ক্যাফেতে।
মানুষ মানুষ! জ্যান্ত মানুষ সর্বত্র। তারা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কথা বলছে। গান গাইছে। কেউ বা কফি খাওয়াচ্ছে, ফল উপহার দিচ্ছে। হেমিংওয়ের পধধূলিধন্য কাফে লা বোদেগিতার দেওয়ালে তাই বাঙলায় লিখে এসেছি এক লাইন। এত প্রাণ যে শহরে সে তো আমারই কলকাতা।