সোমনাথ লাহিড়ী

১৯ তারিখ সোমনাথ লাহিড়ীর মৃত্যুদিন। আমাদের বাড়ি জোড়াসাঁকো। সেখানে মস্ত বস্তি। উচ্ছেদ করার জন্য বহুকাল আগে পেয়াদা এসেছিলো। সোমনাথ লাহিড়ী নাকি সটান রাস্তায় শুয়ে পড়ে রুখে দিয়েছিলেন। উচ্ছেদ আর হয়নি।

অনেক গুলো প্রজন্মের কিছু গরিব গুর্বো মানুষ তাই দেশের বড় একটা শহরের ঠিক মধ্যিখানে ঠাঁই পেয়ে গেছে। হ্যাঁ, জবরদখল। এর বদলে একটা বড় মল হতে পারত। ফিটফাট রাস্তা হতে পারত। সেসব হয় নি। শুধু বেশ কিছু মেহনতি মানুষ এক টুকরো প্রাইম রিয়েল এস্টেট আঁকড়ে জীবন যুদ্ধে টিঁকে গেছে।

এরকম লড়াই-এর একটা দুনিয়া আছে। ক্ষুধার সূচকে ভারত যখন পারিস্তান-বাংলাদেশেরও নীচে, জি এন সাইবাবা থেকে উমর খালিদরা যখন নিজের দেশে বন্দী, তখন চোখ বুজে হাম দো হমারে দো করাই যায়। কিন্তু তাতে সুখি হওয়া যায় কি? চারপাশে তো দেখি না। বরং দেখি ‘আমি’ ‘আমি’ করতে করতে পালে পালে মানুষ আরো আরো খারাপ থেকে চলেছে।

ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের জন্য তাই কলকাতাকে ভালোবাসি। দিনের প্রথম অংশে যেমন গবেষণা করতে পারি, মধ্য অংশে তেমনি ব্যবসা করতে পারি। আর অপরাহ্ন পার হয়ে গেলে চোখ খুলে চলার অনুশীলনও শুরু করা যায়। মিছিলে পা মেলানো যায়। বন্ধুদের সাথে গলায় গলা মেলানো যায়। ক্ষুদ্রতা ধুয়ে মুছে সাফ হয়। এই বোধহয় ওয়ার্ক-লাইফের সঠিক ব্যালেন্স। এ নিয়ে গাদাগুচ্ছের লেখা দেখি। বিদ্রোহের কথাটা শুনি না। তাই ভাবলাম এটুকু বলা দরকার। চোখ বুজে থাকলে অসুখ কিন্তু তীব্রই হয়ে চলে।

Leave a Comment

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.