বড় বিপদটা কোথায় – সুগত বসু, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক – আনন্দবাজার

জানুয়ারি ২০২১

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ঘরোয়া আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গ, ভারত বিশ্ব নিয়ে নানা চিন্তা এবং উদ্বেগের কথা বললেন মানবিকবিদ্যার তাত্ত্বিক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এবং ইতিহাসবিদ সুগত বসু

আপনারা দু’জনেই প্রথমে কাজের সূত্রে, পরে জীবনের সূত্রে প্রবাসী। কিন্তু প্রবাসী হয়েও দু’জনেই বাংলায় কাজ করেছেন, এক জন সামাজিক কাজ, অন্য জন রাজনৈতিক কাজ করার সূত্রে বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। একটা অন্য রকম জানালা আছে আপনাদের দু’জনেরই। কী মনে হচ্ছে এখন, পরিস্থিতি কি বদলাচ্ছে, বাংলার?

সুগত বসু: অবশ্যই বদলাচ্ছে। আগে বলি, আমি বাংলায় তিন ধরনের কাজ করেছি। গবেষণার সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ঘুরে গ্রামীণ অর্থনীতি, সমাজ বোঝার চেষ্টা করেছি। রাজনীতিও। পশ্চিমবঙ্গে তখন বর্গা রেজিস্ট্রেশন চলছে। রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পে যেতাম, মেদিনীপুরে, বর্ধমানে, পশ্চিম দিনাজপুরে। তখন রাজনীতি ছিল স্পষ্টতই শ্রেণিভিত্তিক। যদিও আমার মনে হয়েছিল, যাঁরা চাষ করেন বর্গাদার তো তাঁদের ৫%; যাঁরা খেতমজুর, তাঁদের সম্বন্ধে কমিউনিস্টরাও যথেষ্ট চিন্তা করছেন না। যাঁদের অল্প কিছু জমি আছে, ছোট চাষি, তাঁদের সমর্থনের উপর ভিত্তি করা হচ্ছে, পঞ্চায়েত হওয়াতে সেটা জোরালো হয়েছিল। আমার অন্য একটা কাজ অবশ্যই নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো ও নেতাজি ভবন। সেটা আমার বাবা-মায়ের কাজ, প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা। নেতাজির সহযোদ্ধাদের দেখেছি, দেখেছি তাঁদের মূল্যবোধ বা ভাবাদর্শ— এই সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের কতটা ঊর্ধ্বে তাঁরা। তৃতীয়ত, ২০১৪’য় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বললেন সংসদের নির্বাচনে দাঁড়াতে। রাজি হলাম, কারণ মনে হয়েছিল ভারতবর্ষ খুব বড় রাজনৈতিক বিপদের সামনে। কংগ্রেস ধসে যাচ্ছে, বিজেপির বিপদকে আটকাতে হলে আঞ্চলিক দলগুলিকে ভাল ফল করতে হবে। সে বার বিজেপি জিতেছিল, যেটা এক দিক থেকে ২০১৯-এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বহু বছর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অচ্ছুত, ‘পারায়া’ থাকার পর সে বারই রাষ্ট্রক্ষমতার সূত্রে একটা গ্রহণযোগ্যতা, বৈধতা পেলেন নরেন্দ্র মোদী। পরের পাঁচ বছর চেষ্টা করেছি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ধর্মের দিক দিয়ে সংখ্যাগুরুবাদের উত্থানের নীতিগত বিরোধিতা করতে। বলেছি, এটা কোনও গণতন্ত্র নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগুরুবাদ। ঐক্য আর একত্বকে গুলিয়ে ফেলা। ইউনিটি-র বদলে ইউনিফর্মিটি।

সূর্য: পশ্চিমবঙ্গে ৪৪৪০টি স্কুল রয়েছে। পুরুলিয়া ৩৯০, বীরভূম ৩৬০, বাঁকুড়া ২৭০, মেদিনীপুর ৩৬০, নদিয়া ৩০০, মুর্শিদাবাদ ২৭০, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩০০, উত্তর ২৪ পরগনা ৩৯০, মালদহ ২৭০, দক্ষিণ দিনাজপুর ৩৬০, উত্তর দিনাজপুর ২৭০, কোচবিহার ৩০০, আলিপুরদুয়ার ৩০০, নকশালবাড়ি ৩০০। এই স্কুলগুলিতে মোট শিশুর সংখ্যা ১০৬৭৭০। আর ভারত ও নেপাল মিলিয়ে ১০২৭০২ স্কুল, শিশুর মোট সংখ্যা ২৭৮৪৮০৬।

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক: তা হলে চিন্তা করে দেখো, কী ধরনের ভোটিং বেস তৈরি হয়েছে।

সুগতদা বলছিলেন, দেশভাগের পর অচলাবস্থা তৈরি হলেও বিভক্ত বাংলায় চট করে একটা স্থিতি নিয়ে এসেছিল উদ্বাস্তুদের নিয়ে বাম রাজনীতি। আর গায়ত্রীদি বলছেন কী ভাবে বাম রাজনীতি লোকসংযোগের কাজটা করতে পারল না, ব্যর্থ হল মানুষের কাছে পৌঁছতে। আর তার থেকে আজকের এই সঙ্কট।

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক: একেবারেই। একটা গল্প বলি। সে দিন এক বুড়ো লোক বলল, “দিদি, আজ আমার জুতো। জানেন তো, আমরা অচ্ছুত, বয়স যখন কম ছিল, পায়ে জুতো দেখলে বেত মারত।” বললাম, “বদলাল কে?” উত্তর দিল, “পার্টি।” এই দেখো। এই হল পার্টি। আর আজকে কিনা পার্টি মানে শুধু কে জিতল কে মরল! খালি মারামারির জন্যই পার্টি। এখন খবর: সিপিএম পার্টি মানুষকে বলছে, “ওই দলে যোগ দে, তবে আমাদের দল আবার দাঁড়াতে পারবে।” সারা জগতেই এখন বাম-ডান জোট, কারণ বামেদের আর কোনও দাঁড়াবার প্ল্যাটফর্ম নেই। এটা সত্যিই বিরাট পরিবর্তন।

আমার মতে, আমাদের দেশে বাম পার্টি ভয়ানক রকম ভাবে ‘শ্রেণি’তে আটকে গিয়েছিল, উঁচু শ্রেণির মধ্যে। শুধু তত্ত্বেই তারা বন্দি হয়ে থাকল। তত্ত্বগত ভাবে চমৎকার উত্তর দেয়, অথচ নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর প্রমাণ— পার্টি জানেই না কী করে নীচের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। এত দিন বামপন্থায় থেকেও এরা চিন্তার দিক থেকে আসলে সামন্ততন্ত্রেই পড়ে আছে, উপরটা নীচের সঙ্গে কথা বলতে জানে না!

সুগত বসু: আমি কিন্তু গায়ত্রীদির থেকে শিখেছি কী ভাবে কথা বলতে হয়। ভেবেছি, কী করে যোগাযোগ স্থাপন করব বুর্জোয়া বুদ্ধিজীবী ও বৃহত্তর শ্রমজীবী শ্রেণির মধ্যে। আমার অনেক বক্তৃতাতে গায়ত্রীদির থেকে ধার করে অনেক সময় বলেছি, খেটে খাওয়া মানুষ কারা? আপনারাই আসল, কারণ আপনারা গতর খাটান। আর আমি কেবল মাথা খাটাই।

বিষয়টা খুব সহজ নয়। যখন সংসদীয় রাজনীতিতে ছিলাম তখন ভেবে নেওয়া কঠিন ছিল না যে, ওটাও আর এক রকম ক্লাসরুম। কিন্তু আসল ক্লাসরুমটা তো একেবারে অন্য— বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড়ে কৃষকদের সভা, যেখানে বক্তৃতার জন্য, যোগাযোগের জন্য আমাকে ভাষা খুঁজতে হয়েছে। ওই ভাষাটার কিন্তু খুব অভাব, সেটার জন্য আমাদের ভীষণ চেষ্টা করতে হবে।

আর একটা কথা। বাংলা সংস্কৃতি ও বাংলা ঐতিহ্যের উপর বড় একটা আঘাত আসছে। বাংলার রাজনীতিতে কিন্তু একটা ‘বড়’ স্রোত ছিল, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শরৎচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র বসু। অন্য দিকে একটা ‘ছোট’ সঙ্কীর্ণ ধারা ছিল, হিন্দু মহাসভার, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। দ্বিতীয় স্রোতটাই ১৯৪৭-এ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনে। ২০২১-এ এঁদের জন্য আবারও আমাদের এত দিনের সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে, আর একটা সর্বনাশ হতেই পারে। যাঁরা বলছেন, “আরে আমরা কংগ্রেসও দেখেছি, সিপিএমও দেখেছি, তৃণমূলও দেখেছি, বিজেপিও নাহয় দেখব”, তাঁরা ঠিক উপলব্ধি করতে পারছেন না বিজেপি কত ভয়ঙ্কর।

প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতটাও মনে রাখতে হবে। কোনও দলই ‘পারফেক্ট’ নয়, অনেক ভুলভ্রান্তি, অনেক দুর্নীতি। কিন্তু তার মধ্যেও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এবং গোলকায়ন, বিশ্বায়নের পরিপ্রেক্ষিত মাথায় রেখে দেশের বাকি অংশের সঙ্গেও কতকগুলো যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক: খুব জরুরি কথা। এই যে তিনটি কৃষি বিল, এর মধ্যেই আছে কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, অর্থাৎ গোলকায়নের কুফল। শুধু এ দেশে নয়, বিশ্বের সর্বত্র, এমনকি আফ্রিকাতেও এই ভাবেই ব্যাপারটা ঘটতে দেখেছি। কোনও জাতিরাষ্ট্র এখন একলা দাঁড়িয়ে নেই, যদিও সমানে জাতিরাষ্ট্র হিসেবেই দেখানো-বোঝানো হচ্ছে। কোভিড দেখিয়েছে, সম্পদের পুনর্বণ্টন লাগবে, ‘ইউনাইটেড সিটিজ়েন’ হতে হবে। খালি ‘বাংলা বাঁচাও’-এ পড়ে থাকলে তো হবে না। দুটোকে জুড়তে হবে।

কথা হল, কী করা যায়। মার্ক্সীয় বিপ্লবগুলি জনসম্মতির অভাবে কী ভাবে নষ্ট হয়ে গেল, সে তো আমরা দেখেছি। বক্তৃতা নয়— কাজটা করে করে এগোলে তবেই গণতান্ত্রিক কাঠামো ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে সাহায্য করা সম্ভব। সামাজিক ভাবে ন্যায়সম্মত পৃথিবীর দিকে যাওয়া সম্ভব।

সুগত বসু: আপনি যে বাংলার গ্রামীণ সমাজের কথা বলার আগেই বললেন কৃষক আন্দোলন হচ্ছে, দিল্লি ঘিরে ফেলেছে, ‘দিল্লি চলো’ ধ্বনি দিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, সেটা থেকেই বোঝা যায় আমরা শুধু ‘বাংলা বাঁচাও’-এর কথা বলছি না। আসলে কৃষি-কাঠামো বিভিন্ন রাজ্যে কিছুটা আলাদা হলেও কতকগুলো যোগাযোগ স্থাপন খুবই সম্ভব। এমনকি গুজরাতেও কিন্তু গভীর সঙ্কট। কেবল মোদী-শাহের রাজত্বই তো নয়, তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রেখে চলে এমন আর একটি জুটির রূপ সেখানেই স্পষ্ট দেখেছি। গুজরাতে গিয়ে দেখে অবাক হয়ে গেলাম যে, সেই রাজ্যের প্রতিটি সমুদ্রতীর দু’টি বড় ব্যবসায়ী সংস্থার হাতে বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে, অম্বানী এবং আদানি।

বাংলায় রাজনীতি করতে গিয়ে সব সময় শুনতে হয় যে, আঞ্চলিক দলগুলো বড় দুর্নীতিপরায়ণ। অত্যন্ত সঙ্গত অভিযোগ, সন্দেহ নেই। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে, বিশেষ করে গুজরাতে এই দুর্নীতির বহর ও ধরনটা (‘স্কেল অব করাপশন, লিঙ্কড টু ক্রোনি ক্যাপিটালিজ়ম’) দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। গোটা শাসনতন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। অতিমারির মধ্যেও ছয়টি বিমানবন্দর আদানিরা দখল করেছে। জিভিকে-র মতো সংস্থা থেকে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও তারা হস্তগত করেছে। অথচ এই গুজরাতেও কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে। কয়েকটা বড় সভায় বক্তৃতা ও আলোচনার সূত্রে বুঝলাম, সে রাজ্যের নাগরিক সমাজ অনেক দিক দিয়েই খুব সক্রিয়, ‘ভাইব্র্যান্ট’, প্রতিবাদী। অথচ, শুধু ভোট রাজনীতির দিক দিয়ে দেখলে, কংগ্রেস বা বিরোধী বলে আর কিছু নেই বলে সেখানে বিজেপির উল্টো দিকে কেউ দাঁড়াতেই পারছে না।

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক: সংযুক্ত নাগরিকত্বের শিক্ষাটা খুব দরকারি, কোভিড তা আরও বেশি করে বুঝিয়ে দিয়েছে। নীচের মানুষের জন্য ‘বাংলা বাঁচাও’ বলে কাজ করার দরকার। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করতে হবে, না হলে সংযুক্ত নাগরিকত্ব করা যাবে না। পুঁজিকে কী ভাবে লাগামের মধ্যে রাখা যায়, সীমাহীন ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত ভোগবৈভবের বাইরে আনা যায়, সেটাই আমাদের শিক্ষা হওয়া উচিত।

সুগত বসু: এখানেই আসে ব্যবহারিক রাজনীতির প্রশ্ন। আমেরিকাকে দেখে আজ আমরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছি। জো বাইডেনকে নিয়েও অনেকেই উৎসাহিত নন, কিন্তু ভাবতে পারছ, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আরও চার বছর রাষ্ট্রক্ষমতাকে নিয়ে ছেলেখেলা করতেন, কী হত? ঠিক তেমনই আমাদের দেশেও মোদী-শাহ রাজের পরিস্থিতি। এই যেমন, আজ মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেই বলে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি, নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমকে কী ভাবে কব্জা করে রাখা হয়েছিল জানতে পারছি।

বড় বিপদটা কোত্থেকে আসছে সেটা মনে রাখতে হবে। বাংলাতেও। ঠিক এই মুহূর্তে, আমরা কোনও ‘আদর্শ বিকল্প’ মানুষের সামনে রাখতে পারব না, অন্তত কয়েক মাসের মধ্যে তো নয়। অথচ একটা খুব বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করতেই হবে। দেশে অন্তত চারটে খুব গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন আসছে। সেই সব রাজ্যে যদি এমন সরকার গড়া যায়, যা কেন্দ্রীয় সরকারের চেয়ে আলাদা বা তার বিরোধী, তবে তার ভিত্তিতে ২০২৪-এ সারা ভারতবর্ষে সত্যি একটা বিকল্প দাঁড় করানো যেতে পারে। কথাটা মাথায় রাখা খুব দরকার।

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক: আমাদের বিপদ কিন্তু অনেক বেশি। মোদী ট্রাম্পের মতো অত বোকা নন। যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে।

সুগত বসু: সে তো বটেই। সারা জীবন রাজনীতি করেছেন। ট্রাম্পের তো নিজের কিছু নীতি-আদর্শ ছিল না। মোদীরা একটা বিশেষ নীতিতে ‘কমিটেড’।

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক: একটা আন্তর্জাতিক সমর্থনও আছে। আমাদের বিপদ অনেক বেশি। শুধু বাঙালি ভদ্রলোক হয়ে বসে না থেকে বাংলার পুরোটা নিয়ে ভাবা দরকার, দলিতদের কথাও। সে-সব চিন্তাভাবনা করছি কি?

ইউনিভার্সিটি প্রফেসর ইন দ্য হিউম্যানিটিজ়, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; গার্ডিনার প্রফেসর অব হিস্ট্রি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি

সূত্রধর: সেমন্তী ঘোষ

তথ্যসহায়ক: সূর্য পারেখ

Leave a Comment

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.