মোহ লেগে থাকে। হয়ত থেকে যাব অক্ষয় বটের মত। হয় না। তবু কৌতুহল থাকে বই কি। কেমন হত দেখা হয়ে গেলে? শ্রমসিক্ত দিনের শেষে তার হাসি দেখলে? কেমন হত বলত?
হাঁটতে হাঁটতে কাফের প্রান্তে দাঁড়াই। একতলা গুলো সুন্দর করে সাজানো। কিছু পয়সা পেয়েছে মধ্যবিত্ত বাঙালি। সেই বেশি বয়সের কন্যাও কিছু অবসর পেয়েছে। এত দিন পর! সেই পয়সা দিয়ে একটা দুটো ঘর সাজানো যাক। কলকাতার বুকে নেমে আসুক এক টুকরো পারি, বেলজিয়াম বা বোলপুর।
সে কন্যা কাঁচা পাকা চুল গুছিয়ে বাড়ি ফিরবে রাত হলে। মা’র আজ ওষুধ গুলো বাকি। প্লাম্বারকে ডাকতে হবে।
আজ অবধি দিনলিপি লিখিনি। জমাতে ইচ্ছাই করে না। বরং ছুটোছুটি করতে ইচ্ছা করে। সেই প্রাচীন অশ্বত্থ গাছের প্রান্তে দাঁড়াতে ইচ্ছা করে। কি অসীম সম্ভাবনা আছে জীবনে। দেখা হওয়ার অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা। তাই নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে ইচ্ছা করে।
বাঙালি তেমন কোন স্পষ্ট ছবি আঁকেনি। ঘোলাটে রং-এ, মামুলি কথনে তার যত অনুরাগ। সে জার্মানদের মত সুনিশ্চিত নয়। সে ব্রিটিশদের মত দুনিয়াদারও নয়। মারোয়ারীদের মত পা টিপে টিপে চলা তার ধাতে নেই। আমারও তাই বাঙালিদের মত হতে ইচ্ছা করে। মাঝে, মাঝে।
কেমন হত দেখা হলে? সেই অসহ্য ত্রহ্যস্পর্শ যার সম্ভাবনা টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে আছে জীবনভোর। যার জন্য মন আর থামছে না কোনো বহুতলে। কৌতুহল বুঝি থেকে গেল আজন্মের মত।