ফোর্ট লডারডেলের এয়ারপোর্টে পৌঁছে বুক ধুকপুক করতে লাগল। যদি ভিসা না পাই? টুরিস্ট কার্ডে হবে তো?
কনকোর্স এ-র দিকে হাঁটতে হাঁটতে এ সবই ভাবছিলাম।
লডারডেল বিমানবন্দরের হাবভাব খানিকটা ইন্দোরের কথা মনে করিয়ে দেয়। একটা নতুন নতুন গন্ধ। অথচ কেমন যেন দুয়োরানির মত। কাছেই তো মিয়ামি। হুল্লোরের নরক গুলজার। লডারডেল তারই পাশে কেমন যেন নিষ্প্রভ।
আমাদের টুরিস্ট কার্ড আর আমেরিকান ভিসা দেখে কিউবান কন্যা ফোন লাগালে। আইফোন। আবছা স্প্যানিশ শুনে বুঝলাম সে আমাদের ‘বিশেষ’ অবস্থার কথা কোনো ওপরওয়ালাকে জানাচ্ছে।
মিনিট দুয়েকের মধ্যে ভিসা পেয়ে গেলাম। খরচ আগেই করেছিলাম। পন্চাশ ডলার মাথাপিছু। এখন একটা পিঙ্ক স্লিপ পেলাম। সেখানে নাম ধাম লিখতে হবে। ব্যাস!
(কিউবা যারা যেতে চান, তাদের এটুকু জানলেই চলবে: সাউথওয়েস্ট থেকে টিকিট আর টুরিস্ট কার্ড অনলাইন কিনলেই হবে। টিকিটের সাথে স্বাস্থ্য বিমা ওরা জুড়েই দেয়। ভারতীয় পাসপোর্ট আর আমেরিকার ভিসা থাকলে কিউবার এমব্যাসিতে গিয়ে ভিসা করানোর দরকার নেই।)