বাইরে তুষারপাত হচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরেই ফ্লাইট। মিলওয়াকি থেকে ফোর্ট রডারডেইল। সেখান থেকে (কপাল ভালো থাকলে) হাভানা।
হাভানা কিউবার রাজধানী। ভেবেছিলাম কিউবা নিয়ে কিছু লিখব। যাওয়ার আগে, আগ বাড়িয়ে কিছু শিখব। মুশকিল হল, জানি না তেমন কিছুই।
কাস্ত্রোকে ভালোবেসে ওরা ফিদাল বলে। নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কিউবায় বাসা বেঁধেছিলেন চারের দশকে। ‘ওল্ডম্যান এন্ড দ্য সি’ ওখানেই লেখা। কিউবা স্প্যানিশ কলোনি ছিলো এককালে। এখন সে এক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। অন্তত তারা তাই বলে।
এইসব জানি। এইসব সকলেই জানে। আর যারা জানেনা তারা উইকিপিডিয়া থেকে জেনে নিতে পারে।
উইকিপিডিয়া যা বলতে পারবে না সেই কথা বলি। যাচ্ছি প্রথম হাভানা। সেখান থেকে প্রাচীন স্প্যানিশ কলোনিয়াল শহর ত্রিনিদাদ। মোট দশদিনের সফর। আমরা দুই বন্ধু।
থাকার জায়গা বেছে নিয়েছি এয়ারবিএনবি থেকে। খান দুই কবিতার বই নিয়েছি। শক্তি আর জীবনানন্দ। গত সপ্তাহে যর্ণ’স লেম্মা নিয়ে অঙ্গনার সাথে বেশ কথা চলছিল। তার একটা পিডিএফ কপি নিয়ে নিয়েছি।
বাইরে এখন তাপমাত্রা -৬ সেন্টিগ্রেড। কিউবাতে প্রায় আঠাশ। আমাদের ভিসা নেই। টুরিস্ট কার্ড। যদি শেষমেশ ঢুকতে না পারি বিপ্লবের শেষ ঠিকানায় তাহলে হয়ত মিয়ামিতে থেকে যেতে হবে। এই সব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আমাদের যাত্রা শুরু।